কাশ্মীরে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ৬ স্থানে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত ৩৫ জন আহত হয়েছেন, রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদর দপ্তর ও তল্লাশিচৌকিও গুঁড়িয় দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গোলার আঘাতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর সমুচিত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন। শিগগির এই সংকটের সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সংঘাতপূর্ণ এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিশ্ব নিতে পারবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি। উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
কাশ্মীরে হামলার পর দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট ওরফে কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামের একটি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। যদিও পরে তারা তা অস্বীকার করে। ধারণা করা হয়, এই গোষ্ঠীর সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবার সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর প্রথম প্রকাশ করেন পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। রাত একটার পর পাকিস্তানের এআরউয়াই নিউজকে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে কিছু সময় আগে কাপুরুষ শত্রু ভারত ভাওয়ালপুরের আহমেদ ইস্ট এলাকার সুবহান্নাল্লাহ মসজিদ, কোটলি ও মুজাফ্ফরবাদের অন্তত তিন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে।’ পরে অন্য এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার কথা জানায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।